গাজীপুরের মেয়রের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে কাল

আগামীকাল আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সভায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়রের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে। এছাড়া, চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের বিষয়েও আলোচনা হবে। এসব তথ্য জানালেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার সকালে নিজের বাসভবনে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানান তিনি।

এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যারা বিদ্রোহ করছেন এবং বিদ্রোহীদের মদদ দিচ্ছেন তাদের ব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য।

টাঙ্গাইলে মওলানা ভাসানীর সমাধিস্থলে নবগঠিত দল বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদের নেতৃবৃন্দের ওপর হামলার ঘটনাটি দুঃখজনক ও নিন্দনীয় উল্লেখ করে আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে এ ব্যাপারে কথা হয়েছে। হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে। এ হামলার ব্যাপারে তদন্ত চলছে।

সরকার গণতন্ত্র বিলীন করে ফেলছে বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের দলটির নেতাদের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, গণতন্ত্রের বিকাশ এবং গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে রাজনৈতিক দল হিসেবে আপনারা কোন দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেছেন? গণতন্ত্রের সম্মুখযাত্রায় পদে পদে যারা বাধা তৈরি করে, তারাই আবার মায়াকান্না কাঁদছে। গণতন্ত্রের নামে যারা নির্বাচনবিমুখ, যারা জনগণের ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী নয়, যারা ক্ষমতায় থাকাকালে ভোটারবিহীন নির্বাচন করে এবং সোয়া এক কোটি ভুয়া ভোটার সৃষ্টি করে, তারাই আবার গণতন্ত্রের কথা বলে!

বিএনপি মহাসচিবের কাছে জানতে চেয়ে তিনি আরও বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে কেন আপনি সংসদে গেলেন না? জনমতকে অসম্মান কে দেখালো, সরকার না আপনারা? বিএনপি নিশ্চিত হয়েছে জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসতে পারবে না, সেজন্য তারা দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করে ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করতে চায়। বিএনপি উসকানি দিয়ে নানা ঘটনা ঘটিয়ে সরকারের ওপর দায় চাপাতে চায়।

তিনি আরও জানান, সাম্প্রতিককালে প্রতিটি অঘটনের সাথে বিএনপি এবং তার সাম্প্রদায়িক দোসররা জড়িত। বিএনপিই শীর্ষ পর্যায় থেকে হত্যা, সন্ত্রাসের মদদ দেয়, আওয়ামী লীগ নয়। বিএনপির রাজনীতি অস্থিরতাপূর্ণ, এ অস্থিরতা ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার অস্থিরতা, এ অস্থিরতার কারণে বিএনপি ক্রমশ হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে।

প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটুক্তি এবং মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলার অভিযোগে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি উঠেছে। ইতিমধ্যেই আওয়ামী লীগ থেকে জাহাঙ্গীরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশের জবাবও দিয়েছেন মেয়র।

গত ২২ সেপ্টেম্বর ৪ মিনিটের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাদ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায়, ঘরোয়া আলোচনায় মেয়র তার ঘনিষ্ঠ কারও সঙ্গে কথা বলছেন। সেখানে তার কথায় স্পর্শকাতর অনেক বিষয় ছিল। যা নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য উঠে আসে। এতে গাজীপুর আওয়ামী লীগের একটি অংশ মেয়রকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি তোলে।

মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি নিয়ে জানান, তার বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করা হচ্ছে। ভিডিওটি ভিত্তিহীন। মিথ্যা আইডি দিয়ে ফেসবুক খুলে তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *